রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
জগন্নাথপুর নিউজ ডেস্ক:: সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাওরে বজ্রপাতে মহিলাসহ পাঁচ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকার দিকে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মুক্তুল হোসেনের ছেলে কৃষক নূর হোসেন (২৪) ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার দণি বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁওয়ের হযরত আলীর স্ত্রী শাহানা বানু (৩৫), দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের ডুববন্ধ গ্রামের আরশাদ আলীর ছেলে ফেরদৌস মিয়া (১১), বিশ্বম্ভপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের ক্ষিরদরপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে সুরমা বেগম (২৪), দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টংগর গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে মুসলিম উদ্দিন (৭০) বজ্রপাতে মর্মান্তিক ভাবে প্রাণ হারান। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভাটি তাহিরপুরে মুক্তুল হোসেন গ্রামের পাশে শনির হাওরে ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে তার আত্মীয়-স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন এ ঘটনারসত্যতা নিশ্চিত করেছেন। অপরদিকে, বিশ্বম্ভপুর উপজেলার দণি বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে শাহানা বানু বাড়ির আঙিনায় কাজ করছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেএ নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিশ্বম্ভরপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল জানান, দণি বাদাঘাট ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামে বজ্রপাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। এ ছাড়াও দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ফেরদৌস (১২)নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুশীল রঞ্জন দাস জানান, দুপুরে বাড়ির পাশের ডোবায় মাছ ধরছিল ফেরদৌস মিয়া। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ দিকে বিশ্বম্বপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ক্ষিরদরপুর গ্রামে সুরমা বেগম (২৪) মরিচ ক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আঘাত প্রাপ্ত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। এ সময় লিলি বেগম নামের এক শিশু আহত হয়েছে। ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রনজিত রাজন এ ঘটনার সতত্যা নিশ্চিত করেছেন। দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নে ধানের খলায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মুসলিম উদ্দিন (৭৫) নামের এক জন মারা গেছেন। দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করেছেন। অপর দিকে জামালগঞ্জ উপজেলায় ধানের খলায় কাজ করার সময় বজ্রপাতে তিন জন কৃষক আহত হন। আহতরা হলেন, ফেরারবাক ইউনিয়নের হঠামারা গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহেদ আলীর ছেলে তৈয়বুর রহমান (১৮), একই গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে আব্দুর রহমান ও সাহেব আলী ছেলে নবী হোসেন।
Leave a Reply